বীজ বিপণন, বীজের অঙ্কুরোদগম পরীক্ষা, বীজের বিশুদ্ধতার হার নির্ণয়
বীজ সংগ্রহ, প্যাকেজ করা, বিক্রিপূর্ব সংরক্ষণ, বিজ্ঞপ্তি, বিক্রি এসব কাজকে বীজ বিপণন বলে।
বীজের অঙ্কুরোদগম পরীক্ষাঃ-
নমুন বীজের শতকরা কতটি বীজ গজায় তা বের করাই বীজের অঙ্কুরোদগম পরীক্ষা। যখন বীজের আর্দ্রতা ৩৫-৬০% বা তার বেশি হয়, তখন বীজ অঙ্কুরোদগম শুরু হয়। এর হার শতকরায় প্রকাশ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ১০০টি বীজ গুনে একটি বেলেমাটিপূর্ণ পাত্রে রেখে বা পানি দ্বারা ভিজিয়ে রাখতে হবে। প্রতিদিন দেখতে হবে পানি যেন শুকিয়ে না যায়। নির্ধারিত সময় পর বীজের অঙ্কুরোদগম শুরু হবে। যতটি বীজ গজাবে ততটি হবে বীজের অঙ্কুরোদগম হার। এভাবে বীজের অঙ্কুরোদগম হার পরীক্ষা করা যায়।বীজের বিশুদ্ধতার হার নির্ণয়ঃ-
সংগৃহীত বীজের আর্দ্রতার হার নির্ণয়ের জন্য বীজ আর্দ্রতার সূত্রের প্রয়োজন। বীজ থেকে আর্দ্রতা বের করে দিয়ে তাতে কতটুকু আর্দ্রতা আছে তা জানার পদ্ধতিকে বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষা বলা হয়। বীজের আর্দ্রতা বীজকে সজীব রাখার অন্যতম উপাদন। বীজের মধ্যে শতকরা কত ভাগ পানি আছে তাই বীজের আর্দ্রতা। পরীক্ষার জন্য ৮০ কেজি বীজ সংগ্রহ করুন। সংগৃহীত বীজ শুকানোর পর ওজন দাঁড়াবে ৬৭.৮ কেজি। এরূপ ক্ষেত্রে বীজের আর্দ্রতার পরিমাণ জানার জন্য নিচের সূত্রের সাহায্যে দেখানো হলো:আমরা জানি,
বীজ আর্দ্রতার শতকরা হার =
আর্দ্রতার শতকরা হার=[(নমুনা বীজের ওজন – নমুনা বীজ শুকানোর পর ওজন)নমুনা বীজের ওজন]× ১০০।
সূত্র অনুযায়ী = [(৮০ - ৬৭.৮) ৮০] × ১০০
= (১২.২০ × ৮০) × ১০০
= ১৫.২৫%।
অতএব, সামাদ সরকারের সংগৃহীত বীজের আর্দ্রতার হার ১৫.২৫%।
তাহলে, বীজের বিশুদ্ধতার হার = (১০০ - ১৫.২৫)% = ৮৪.৭৫%।
উৎস ও ব্যবহারঃ-
কৃষি বিষয়ক এই লিখাটি ইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। এই লিখাটি সবার জন্যে উন্মুক্ত। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ এই লিখাটি ব্যবহার করতে পারবেন।