ছবি ঘর | নির্মাণ তথ্য | খাবার | পড়াশোনা | স্বাস্থ্য | প্রযুক্তি | দেশ | ইসলাম | লগইন

হে তৈরির পদ্ধতি বা নিয়ম

হে অতি পরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত খাদ্য যা সারা বছর গবাদিপশুকে সরবরাহ করা যায়। সবুজ ঘাসকে শুকিয়ে এর আদ্রর্তা ২০% বা তার নিচে নামিয়ে এনে হে প্রস্তুত করা হয়। হে তৈরির জন্য এক বা একাধিক লিগিউম জাতীয় ঘাস চাষ করা যায়। লিগিউম ঘাসে সাধারণ ঘাসের তুলনায় বেশি মাত্রায় প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। লিগিউম গাছের মূলে রাইজোবিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন ধরে রাখে যা প্রোটিন গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে লিগিউম ছাড়াও সাধারণ ঘাস দিয়ে হে তৈরি করা যেতে পারে।

হে তৈরির ধাপঃ-

হে তৈরির মাধ্যমে সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করা যায়। নিচে হে তৈরির বিভিন্ন ধাপ দেওয়া হলো।

« হে তৈরির জন্য শিম গোত্রীয় ঘাস বেশি উপযোগী।

« ফুল আসার সময় ঘাস কাটতে হবে।

« ঘাস শুকিয়ে ১৫-২০% আর্দ্রতার মধ্যে রাখা হয়।

« ঘাস শুকিয়ে চালযুক্ত ঘরে সংরক্ষণ করা হয়।

গুণগত মানের হে-এর বৈশিষ্ট্যঃ-

হে এর খাদ্যমান ঘাসের গুণগতমানের উপর নির্ভর করে। হে-এর গুণগতমান ঘাসের পূর্ণতাপ্রাপ্তি, পাতার পরিমাণ, ঘাসের রং প্রভৃতি দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

» হে এর জন্য ব্যবহৃত ঘাস পাতা সমৃদ্ধ হতে হবে। হে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুষ্ক হতে হবে। পাতার পরিমাণ এমন হতে হবে যাতে দুই-তৃতীয়াংশ পুষ্টি উপাদান পাতার মধ্যে থাকে।

» হে উজ্জ্বল সবুজ বর্ণের হতে হবে যাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ বিদ্যমান থাকে। বেশি আর্দ্রতা থাকার কারণে বা অত্যধিক তাপের কারণে হে বাদামি বর্ণের হতে পারে যেটা পুষ্টি উপাদান কমে যাওয়ার নির্দেশনা হিসাবে বিবেচিত হবে।

» হে আগাছামুক্ত হতে হবে।

» হে মোল্ড ও ধুলা বালিমুক্ত হতে হবে।

» এতে খাওয়ার উপযোগী বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ থাকতে হবে।

হে তৈরির পদ্ধতিঃ-

হে তৈরির পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হল।

গাছ কাটার সময়: হে তৈরির জন্য সঠিক পূর্ণতা প্রাপ্তির সময়ে গাছ কাটতে হবে। যত কম বয়সে গাছ কাটা যাবে, হে এর গুণগতমান তত বেশি হবে। যত বেশি বয়সে গাছ কাটা হবে, হে এর গুণগতমান তত কমে যাবে। তবে ফুল আসার সময় কাটাই উত্তম।

সঠিকভাবে শুকানো: হে তৈরির সময় গাছকে সঠিকভাবে শুকাতে হবে যাতে করে মোল্ড মুক্ত ও অতিরিক্ত তাপমুক্ত অবস্থায় সংরক্ষণ করা যায়। গাছগুলোকে দ্রুত শুকাতে হবে এবং অতিরিক্ত সূর্যের আলো পরিহার করতে হবে যাতে করে ভালো মানের হে এর বৈশিষ্ট্যগুলো ধরে রাখা যায়। গাছ কেটে রৌদ্রে উল্টাপাল্টা করে এমনভাবে নেড়ে দিতে হবে যাতে করে অতিমাত্রায় পাতা ঝরে না যায়। সবুজ ঘাসে সাধারণত ৭৫-৮০ ভাগ আর্দ্রতা থাকে। যেখানে ভালো মানের হে তে সর্বোচ্চ ২০-২৫ ভাগ আর্দ্রতা থাকে। রোদে শুকানোর সময় বৃষ্টির পানিতে ভেজানো যাবে না।

হে সংরক্ষণ: হে অবশ্যই শুষ্ক অবস্থায় সংরক্ষণ করতে হবে।

উৎস ও ব্যবহারঃ-

কৃষি বিষয়ক এই লিখাটি ইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। এই লিখাটি সবার জন্যে উন্মুক্ত। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ এই লিখাটি ব্যবহার করতে পারবেন।

একই ধরনের বিষয়ঃ-

বিষয়: সাইলেজ তৈরির নিয়ম বা পদ্ধতি

বিষয়: ইউরিয়া মোলাসেস তৈরির নিয়ম জেনে নিন

বিষয়: বীজ সংরক্ষণ বলতে কি বুঝ এবং বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতি কি?

বিষয়: আলু চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল

বিষয়: খাদ্য সংরক্ষণ কাকে বলে, খাদ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি

সর্বশেষ প্রকাশিত বিষয়

বিষয়: আলু চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল

বিষয়: জমি চাষ বলতে কি বুঝায়? জমি চাষের বিবেচ্য বিষয়গুলো লেখ

বিষয়: ভূমিক্ষয় কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

বিষয়: ভূমিক্ষয়ের কারণ কি, ভূমিক্ষয় রোধের উপায় সম্পর্কে জানতে চাও?

বিষয়: বীজ শুকানো প্রয়োজন কেন এবং বীজকে পোকা থেকে কিভাবে রক্ষা করব?

বিষয়: বীজ সংরক্ষণ বলতে কি বুঝ এবং বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতি কি?

বিষয়: জমি প্রস্তুতির প্রাথমিক ধাপ কি, গম চাষের জমি প্রস্তুতি

বিষয়: সম্পূরক খাদ্য কাকে বলে এবং সম্পূরক খাদ্য কি কি?

বিষয়: বীজ বিপণন, বীজের অঙ্কুরোদগম পরীক্ষা, বীজের বিশুদ্ধতার হার নির্ণয়

বিষয়: মৌল বীজ কাকে বলে? বীজ সংরক্ষণের গুরুত্ব

বিষয়: খাদ্য সংরক্ষণ কাকে বলে, খাদ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি

বিষয়: সাইলেজ তৈরির নিয়ম বা পদ্ধতি

বিষয়: হে তৈরির পদ্ধতি বা নিয়ম

বিষয়: ইউরিয়া মোলাসেস তৈরির নিয়ম জেনে নিন